ছাত্র আন্দোলনে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে রাকেশ দাস নামক ও এস কে মাসুমকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এক হোটেলের সামনে থেকে আটক করা হয়।

আটককৃত রাকেশ দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের উপ- প্রচার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মাসুমও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক। তাঁরা দুইজনই ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা ই এলাহীর অনুসারী ছিলেন। তিনি গত ২৯ জুলাই কুবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছিলেন। এদিন এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রাকেশকে আটক করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দুপুর পরে পুলিশে খবর দিলে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির তিনজন পুলিশ সদস্য তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। শেখ মাসুমকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানি মসজিদের সামনের একটি দোকানের সামনে থেকে বিকাল ৪টায় আটক করে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা (ডিবি)র অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন,আটককৃত ব্যক্তিদের নামে মামলা রয়েছে। তাই আমরা তাদেকে আটক করেছি। আমরা তাদেরকে কোর্টে চালান করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আবদুল হাকিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে আমি দুই বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি । এরপর আমি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসন বলেছে ওদের নামে মামলা আছে। কোর্টে চালান করার পর আইনগতভাবে ওদেরকে ছাড়িয়ে আনতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সংসদ সদস্য বাহারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্র আন্দোলন চত্বরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে অংশ নেন রাকেশ দাস। ওই ঘটনায় প্রতিবেদকের হাতে আসা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page